December 22, 2024, 2:54 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
চুয়াডাঙ্গায় জেলা জজ আদালতের আইনজীবিরা আদালক বর্জন অব্যাহত রেখেছেন। জেলা ও দায়রা জজ-১’র বিচারক জজ বজলুর রহমান জেলা জজের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে), আদালতের নাজির মাসুদুজ্জামান ও বেঞ্চ সহকারি জহুরুল ইসলামকে অপসারণ না করা পর্যন্ত ওই কর্মসূচি চলছে গত বৃহস্পতিবার থেকে।
এদিকে, আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা।
আজ রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন করেছেন আইনজীবিরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালিম হোসেন, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দিন খান, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বৃহস্পতিবারের ঘটনাকে তাদের জন্য চরম অবমাননাকর বলে উেিল্খ করে বলেন নতুন নাজির নিয়োগকে কেন্দ্র সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে তারা ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের কাছে গেলে তিনি তা উপেক্ষা না করে সমাধানে উদ্যোগ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আদালতের কর্মচারীরা লাঠিসোটা নিয়ে আইনজীবীদের উপর হামলা করে। এতে ৪-৫ জন আইনজীবী আহত হন।
অনতিবিলম্বে এই হামলার সুষ্ঠু বিচার ও জজ বজলুর রহমান ও নাজির মাসুদুজ্জামান এবং কর্মচারী জহুরুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবী জানান তারা। অন্যথায় বিক্ষোভসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা অচলের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন আইনজীবীরা।
আইনজীবীরা তাদের দাবির স্বপক্ষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করেন ।
এদিকে, আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। মামলার দিন ধার্য থাকায় অনেকেই দুর দুরান্ত থেকে আদালতে আসেন। অনেক মামলার রায় হবার দিনও ধার্য ছিল বলে অনেকেই জানান।
বিচারপ্রার্থী কামাল উদ্দিন পরিবারে ৫ সদস্য নিয়ে আদালতে এসেছিলেন দামুড়হুদার দহগ্রাম থেকে। প্রতিবেশীর সাথে একটি মামলায় আজ ২১ মার্চ রায় হবার কথা ছিল।
“আইনজীবি জানালো রায়ের তারিখ একবার পিছিয়ে গেলে ওটা উঠে আসতে অনেক সময় লাগবে,” কামাল জানান। তিনি বলেন তিনি ঢাকায় থাকেন। সেখান থেকে বারবার আসা তার পক্ষে খুবই মুশকিল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জেলা জজ আদালতের নতুন নাজির নিয়োগকে কেন্দ্র করে আদালত কর্মচারীদের সাথে আইনজীবীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ এর (ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ) কার্যালয় ভাংচুর করা হয়। পরে আদালতের কর্মচারীদের হাতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন লাঞ্ছিত হবার ঘটনায় বিচারক বজলুর রহমান এবং দুই কর্মচারীকে প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের আদালত বর্জন করে জেলা আইনজীবী সমিতি।
Leave a Reply